‘রক্ত দিন, জীবন বাঁচান’ এ আহ্বানটি অতি পরিচিত হলেও এতে সাড়া দেয়ার লোকের এখনো অভাব আছে। তাইতো রক্তের অভাবে এখনো অনেক মূল্যবান জীবন অকালে ঝরে যাচ্ছে। আপনার স্বেচ্ছায় রক্তদান এ সব মূল্যবান জীবন রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এ দান যদিও নিঃস্বার্থ, তবুও এ দানের মাধ্যমে আপনি বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারেন। রক্তদানের উপকারিতা নিয়ে লিখেছেন ঢাকা আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. বৃন্দাবন বিশ্বাস।
* আপনি রক্তদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, এতে আপনার রক্তদান ভীতি দূর হবে এবং এ দান পরবর্তীতে আপনাকে নিয়মিত রক্তদানে এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
* ‘আমার রক্তে একজন মুমুর্ষূ রোগীর জীবন বাঁচবে’ এ ধারণা থেকে অন্তরে সুখ অনুভব করবেন।
* ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ এ বাণীর যথার্থতা অনুভব করবেন।
* রক্তদাতা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি পাবেন এবং রোগী ও তার স্বজনদের কৃতজ্ঞতায় সিক্ত হবেন।
* অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য পেতে পারেন স্রষ্টার অনুগ্রহ ও ভালোবাসা।
* নিজের রক্তের গ্রুপ জানতে পারবেন এবং পূর্বে জানা গ্রুপ ঠিক কি ভুল তার নিশ্চয়তা পাবেন।
* বিনা খরচে আপনার রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিসসহ কমপক্ষে পাঁচটি মারাত্মক রক্তবাহিত রোগ আছে কি না জানতে পারবেন।
* ডোনার কার্ড পাবেন এবং পরবর্তীতে নিজের প্রয়োজনে যত রক্ত লাগুক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান থেকে তার নিশ্চয়তা পাবেন। কার্ডের বিনিময়ে অন্যকে রক্ত জোগাড় করে দিতে পারবেন।
* আপনার রক্ত তৈরির অস্থিমজ্জা সক্রিয় হবে যা ভবিষ্যৎ রক্তক্ষরণ মোকাবিলায় তৈরি থাকবে।
* নিয়মিত রক্তদানে রক্তের কোলেস্টেরল কম থাকবে এবং এতে হƒদরোগের ঝুঁকি কমবে এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করার সুযোগ থাকবে।
আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয়, এবং আপনি যদি নিজেকে সুস্থ মনে করেন তাহলেই আপনি একজন সক্ষম রক্তদাতা। নিজের ক্ষতি না করে রক্তদানে যদি উপজাত হিসেবে এতগুলো উপকার পাওয়া যায়, তাহলে আপনি স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসুন। তাই রক্তদানের নতুন স্লোগান হোক ’রক্ত দিন, জীবন বাঁচান এবং নিজে বাঁচুন’।
সুত্র:এইবেলা